নালিতাবাড়ী, প্রতিনিধি: শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রেহমা সারওয়াত সালমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দূৃর্নীতির অভিযোগ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ।
গত ২২ ফেব্রুয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রায় ৩৭ জন কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন । অভিযোগটি মিথ্যা-কাল্পনিক বলে দাবী করেছেন অভিযুক্ত ডাঃ রেহমা সারওয়াত ।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, ডা: রেহমা সারওয়াত সালমা এডহক নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কপ্লেক্সে যোগদান করেন ।যোগদান করার পর থেকে তিনি নিয়মিত ভাবে কর্মস্থলে থাকেন না।প্রতি সপ্তাহে মাত্র ২দিন থেকে ৩ থাকেন , বাকী সময় ছুটি না নিয়ে ঢাকায় অবস্থান করেন । নিয়ম বহির্ভূতভাবে তিনি সরকারী গাড়ী ব্যবহার করে ঢাকায় যাতায়াত করেন ।
লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ভালো থাকা এ্যামবুলেন্স মেরামত ও যন্ত্রাংশ কিনার নামে প্রতিমাসে ১৫-২০ হাজার টাকা উত্তোলণ করে আত্মসাৎ করেন। এ্যামবুলেন্সের ৫৫-৬০ হাজার টাকা গ্যাস ও প্রেট্রোল বাবদ প্রতি মাসে ৪০ হাজার টাকা ড্রাইভারের মাধ্যমে বিল ভাউচার প্রস্তুত করে সরকারী টাকা হাতিয়ে নেন ।ডা: রেহমা সারওয়াত একজন নন-বিসিএস কর্মকর্তা হলেও নিজেকে বিসিএস ক্যাডার হিসেবে জাহির করেন ।এই অভিযোগে তার সীমাহীন দূর্নীতির কথা বলা হয়েছে। তিনি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে কমপ্লেক্সের আসবাবপত্র মেরামত ,পরিষ্কার-পরিছন্নতা , ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রপাতি, হোমিওপ্যাথিক ঔষুধ ও অন্যান্য ঔষুধ কেনার নামে মিথ্যা ভাউচার তৈরী করে ১০ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেছেন । তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, জাতীয় স্বাস্থ্য সহকারীদের হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন কর্মসূচির বাজেটের ১০লক্ষ টাকা আত্মসাত করার জন্য কর্মচারীদের বিল আটক রেখে তাদের সাথে দীর্ঘদিন খারাপ আচরন করেন ।এছাড়াও অভিযোগ প্রকাশ করা হয়েছে তিনি জাতীয় দিবস গুলিতেও কর্মস্থলে উপস্থিত থাকেন না । একজন স্বাস্থ্য সহকারীর ১৭ হাজার টাকার বিলে ৫ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহন করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে । এছাড়া কোভিড-১৯ এর কার্যক্রমের নামে ৩ লক্ষ টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ রয়েছে । বাগান সৃজন না করেই অল্টারনেটিভ মেডিক্যাল কেয়ার ভেষজ বাগানের নামে কাগজে কলমে সৃজন দেখিয়ে ১ লক্ষ টাকা নিজের থলে তুলেছেন বলে অভিযোগ আছে।
এ ব্যপারে ডা: রেহমা সারওয়াতের সাথে কথা হলে তিনি জানান উল্লেখিত অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত ।উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে দেওয়া আভিযোগ সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের তদন্ত করে প্রকৃত সত্য বের করার প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি । পাশাপাশি তিনি গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগটির ব্যাপারে আরও তথ্য সংগ্রহ করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করার দাবী করেন ।